জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না—এমন নিশ্চয়তা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত যে কেউ, সাংবাদিক হোক বা অন্য কোনো পেশার মানুষ, তাদের বিচার হবে। তবে বিচার প্রক্রিয়ায় সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।” এর মাধ্যমে তিনি বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ শুরু হবে। নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার ও তিন বিচারক মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। যদিও বুধবার তাদেরকে স্বাগত জানাতে প্রসিকিউশন টিম প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আইন উপদেষ্টার এই বক্তব্য গণমাধ্যমের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, সাংবাদিকদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, সাংবাদিকদের ভূমিকা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সহযোগিতার অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা উচিত।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আরও জানান, ১ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করা হবে। সংস্কারের কাজ চলছে এবং এটি সম্পন্ন হলে বিচার কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে।
এই ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে এতে আশাবাদী, আবার কেউ কেউ আইন ও বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে সন্দেহও প্রকাশ করছেন। তবে, আসিফ নজরুলের কথায় স্পষ্ট, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে সে ক্ষেত্রে সবার সামনে সত্য উন্মোচিত হবে এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
বৃহস্পতিবারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রধান আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইন ও বিচার বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে নানান আলোচনা চলমান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।