বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
সামির আসাফ, প্রতিনিধি ( ঢাকা )
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১০ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন চারটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।


জানা গেছে, পররাষ্ট্র সচিবের প্রথম বৈঠক হবে মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে, যেখানে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। এর পর তিনি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করবেন, যা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন, যেখানে উপস্থিত থাকবেন ডোনাল্ড লুর। এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক লিন্ডসে ফোর্ডের সঙ্গে একটি বৈঠকও রয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করবে।


শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র সচিবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী শেলবি স্মিথ–উইলসনের সঙ্গে। এ বৈঠকে মানবাধিকার, সুশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের বিষয়ে আলোচনা হবে।


মার্কিন প্রশাসনের সাথে এই বৈঠকগুলো হচ্ছে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা দ্রুততার সাথে চাইছে, যা বিভিন্ন খাতে সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম ও মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করবে। 


এভাবে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নয়ন এবং শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে এসব বৈঠককে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।