দই খাওয়ার অভ্যাস অনেকের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু টক দই বলতেই সবার প্রথমে মনে আসবে খাবার-দাবার রান্নায় ব্যবহারের কথা। তবে জানেন কি শরীরের জন্য এই টক দই কত উপকারী। দুধের মতোই টক দইও আশ্চর্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। টক দই শারীরিক নানা সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে নিয়মিত এক কাপ টক দই খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। জেনে নেওয়া যাক টক দইয়ের এমনই অসাধারণ কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক! টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেতে পারলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যাবে অনেকটাই।
খাবার হজমে সাহায্য করে
অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা মসলাযুক্ত খাবার-দাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। হজমের সমস্যাও দূর করতে টক দইয়ের মতো সহজলভ্য আর কিছু হয় না। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে আর হজমের সমস্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।
কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
টক দইয়ে ফ্যাট থাকে নামমাত্র। এছাড়া টক দই রক্তের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এজন্য কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক বা হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যার ঝুঁকি কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
রক্ত পরিশোধন করে
নিয়মিত টক দই খেতে পারলে তা রক্ত পরিশোধনে বা রক্তকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে টক দই খুবই কার্যকরী। নিয়মিত টক দই খেতে পারলে তা রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনি কমায় উচ্চ রক্তচাপও।
ল্যাকটোস ইন্টালারেন্স সমস্যা কমায়
অনেকেই দুধ খেলে হজমের সমস্যা হয় বা অনেকেরই ল্যাকটোস ইন্টলারেন্সের সমস্যা রয়েছে। যাদের এই ল্যাকটোস ইন্টলারেন্স-এর সমস্যা রয়েছে, তাদের দুধ সহজে হজম হতে চায় না। তাই যাদের ল্যাকটোস ইন্টলারেন্সের সমস্যা রয়েছে, তারা অনায়েসেই দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন।
ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। টক দইয়ে ফ্যাট থাকে নামমাত্র। তাছাড়া টক দইয়ের সঙ্গে নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খিদে বোধ কম হয়। ফলে ধীরে ধীরে সহজেই কমে আসে ওজন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।