ভগবত গীতায় হাত রেখে এফবিআই প্রধানের শপথ নিলেন ক্যাশ প্যাটেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
ভগবত গীতায় হাত রেখে এফবিআই প্রধানের শপথ নিলেন ক্যাশ প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) প্রধান হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্যাশ প্যাটেল চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিনেটে তার মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতায় হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেন।  


শপথ গ্রহণের সময় হোয়াইট হাউজের আইজেনহাওয়ার এক্সিকিউটিভ অফিস ভবনে তার পরিবার উপস্থিত ছিল। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি তাকে শপথ পাঠ করান। প্যাটেল শপথ নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান।  


এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ক্যাশ প্যাটেল এফবিআই প্রধান হিসেবে সেরা হতে চলেছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন। এছাড়া তিনি ফেডারেল পাবলিক ডিফেন্ডার ও ফেডারেল কৌঁসুলি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।  


ক্যাশ প্যাটেল ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত এবং দীর্ঘদিন ধরে এফবিআই-এর সমালোচনা করে আসছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ‘ডিপ স্টেট’ বা রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি শক্তিশালী গোপন নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জোরালোভাবে প্রচার করেছেন।  


তার লেখা ‘গভর্নমেন্ট গ্যাংস্টারস’ বইয়ে তিনি ডিপ স্টেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাশ প্যাটেলের মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে তিনি এফবিআইকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।  


প্যাটেল বলেছেন, তিনি ডিপ স্টেট ভেঙে দেবেন এবং এফবিআই পুনর্গঠন করবেন। তার পূর্বপুরুষদের শিকড় ভারতের গুজরাটের আনন্দ জেলার ভাদ্রান গ্রামে। তার পরিবার ৭০-৮০ বছর আগে উগান্ডায় পাড়ি জমায় এবং পরবর্তীতে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়।  


ক্যাশ প্যাটেল ১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রিচমন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং পেস ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল থেকে আইনের ডিগ্রি নেন। এছাড়া ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক আইনে সার্টিফিকেট অর্জন করেন।  


এফবিআই-এর নতুন প্রধান হিসেবে ক্যাশ প্যাটেলের নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ট্রাম্পের নীতি ও তার সমর্থকদের প্রত্যাশার সঙ্গে তার অবস্থান কতোটা মিলবে তা নিয়েও নানা বিশ্লেষণ চলছে।