ফেক আইডি থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৯ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
ফেক আইডি থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি

নোয়াখালীতে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও একেএম ফারুক হোনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় জিডি করেন। জিডির নম্বর ৬০৫/০৯.০১.২০২৫।


শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং দ্য ডেইলি পোস্ট ও সময়ের কণ্ঠস্বরের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি। অপর ভুক্তভোগী একেএম ফারুক হোসেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।


শাহাদাৎ বাবু অভিযোগ করেন, গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একটি ফেক আইডি "Bakhtiar Shikdar" থেকে তাদের ছবি ব্যবহার করে বিরূপ মন্তব্যসহ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তিনি জানান, ফেক আইডি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে তিনি ও তার সহকর্মী ফারুক হোসেন সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন।


এ প্রসঙ্গে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি বখতিয়ার শিকদার জানান, তার নামে একটি ফেক আইডি খুলে বিভ্রান্তিকর পোস্ট করা হচ্ছে। তিনি এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর থানায় জিডি করেছিলেন।


শাহাদাৎ বাবু আরও জানান, তার ভাইয়ের বাসায় চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করতে গিয়ে একটি স্বর্ণের দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। দোকানদার স্বর্ণ কেনার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং অনুতপ্ত হয়ে চুরি হওয়া স্বর্ণ ফেরত দেন। তবে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করা হয়।


অন্যদিকে, একেএম ফারুক হোসেন বলেন, স্বর্ণের বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তি করতে গেলে একদল অসাধু চক্র তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং পরে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট করে।


নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নোয়াখালীর সাংবাদিক মহল।