তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য। শহর, উপশহর, এবং এমনকি দুর্গম এলাকায়ও মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান আজকের ব্যবসা-বাণিজ্যে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
এখন, অনেক প্রবাসী তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করেন। তবে, একটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা—মোবাইল ডাটার মেয়াদ। উদাহরণস্বরূপ, একজন গ্রাহক ৭ দিনের জন্য ১০ জিবি ডাটা কিনে সর্বোচ্চ ৫ জিবি ব্যবহার করলে বাকি ৫ জিবি মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রতিটি মোবাইল অপারেটর বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে ডাটা অফার করে, কিন্তু গ্রাহকদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য ‘মেয়াদ’ একটি ভোঁতা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণ ক্রয় স্বত্ব আইন অনুযায়ী, গ্রাহকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত, কিন্তু মোবাইল ডাটার ক্ষেত্রে মেয়াদের শর্ত প্রায়ই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের বাধ্য করছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডাটা ব্যবহার করতে, অন্যথায় তা অপচয় হয়ে যাচ্ছে। বিগত সময়ে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
অতএব, জরুরি ভিত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের এই সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ভেঙে যুক্তিসংগত ডাটার মূল্য ও মেয়াদ নির্ধারণের সময় এসেছে। কিছু গ্রাহক প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যদিও তারা সরকারের প্রতি বিব্রত করতে চান না।
তথ্য প্রবাহ সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছানো মানবাধিকার সংরক্ষণের একটি অঙ্গ। আশা করা যায়, তথ্য ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা থেকে রক্ষা করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।