বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের ভাবনা ও বাস্তবতা- সাইফুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের ভাবনা ও বাস্তবতা-  সাইফুল ইসলাম

বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের উদ্যোগ নিতে চাইছে দেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, ভোটের মাঠে তাদের কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা অভিযোগ করেন, ইসলামী দলের নেতারা প্রার্থী নির্বাচন করেন যারা জনমানুষের কাছে জনপ্রিয় নয়, যার ফলে ভোটের ফলাফল ০% থেকে ১৫% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।


এখন পর্যন্ত ইসলামী দলগুলো এককভাবে নির্বাচন করার ইতিহাস খুবই কম। যদি তারা সম্মিলিতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, তাও সম্ভবত জামায়াতের জন্য ৩০% ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারা কীভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। 


মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, "লম্বা কুর্তা এবং পাগড়ি পরলেই কেউ ইসলামের ধারক-বাহক হতে পারে না।" ইসলামী আদর্শে আলোকিত হওয়ার জন্য অহংকার, হিংসা এবং বিদ্বেষ পরিহার করা প্রয়োজন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যখনই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হবে, দেশি ও বিদেশী শক্তি তাতে বাধা দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করবে। 


গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা দিলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একঘরে করে ফেলতে পারে। যদি দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা না থাকে, তবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ব্যর্থ হবে। সুতরাং, ইসলাম প্রতিষ্ঠার আগে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি।


সাইফুল ইসলাম বলেন, "শুধু 'আল্লাহু আকবার' বলার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না।" রাসূল (সা.) মক্কা বিজয়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন; তাই আমাদেরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। 


বর্তমানে বাংলাদেশের ভূগোল এবং প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে আফগানিস্তানের সাথে তুলনা করা যাবে না। এজন্য ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আগে থেকে সঠিকভাবে করতে হবে। 


তিনি শেষ কথা বলেন, ইসলামী আদর্শে দেশ পরিচালনা করা খুবই জরুরি। তবে, এটি বাস্তবায়নের আগে বিভিন্ন বিপর্যয় ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের ভাবনা গ্রহণ করতে হলে একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।