আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত কালকি স্লুইস গেটের মুখে পলি জমা এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ভেঙে পড়া পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। শনিবার সকালে তারা সমস্যার প্রকৃত চিত্র দেখতে এবং স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ সম্পর্কে জানতে গেট এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় টিম সদস্য, সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, "আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে কালকি স্লুইস গেটের কারণে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়ে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। আজ এখানে এসে মানুষের দুর্দশা দেখে গভীর বেদনা পেয়েছি। এই সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।"
তিনি আরও জানান, "জলাবদ্ধতা দূর করতে আমাদের কর্মীদের দেওয়া চাঁদার অর্থ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। মানুষের কল্যাণে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।"
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী জানান, কালকি স্লুইস গেটের কারণে খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছেন। প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমির ধান ও ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বসতঘরে পানি ঢোকে, পথঘাট ডুবে যায়, এবং মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
গ্রামের ফসলি জমি ও গবাদি পশু চারণ ভূমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষি ও পশুপালন কার্যক্রম ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পুরো বড়দল ইউনিয়ন লবণ পানি মুক্ত হলেও স্লুইস গেটের অকার্যকর অবস্থার কারণে ফসল চাষ সম্ভব হচ্ছে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াত আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, নায়েবে আমীর নূরুল আফছার মোর্তজা, এডভোকেট শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
নেতৃবৃন্দ জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।