ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানজনক বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। শনিবার (৯ নভেম্বর) খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে উলামা-মশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “ইমাম-খতিবরা সমাজের গুরত্বপূর্ণ অংশ। তারা জুমার খুতবা, ওয়াজ এবং নসিহতের মাধ্যমে মানুষের চরিত্র গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন। তাদের মেহনতের ফলেই দেশে ইসলামের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, সমাজে যেসব ব্যাধি বিদ্যমান, সেগুলো দূর করতে আলেম-উলামাদের বিশাল অবদান রয়েছে।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, “ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে একটি সম্মানজনক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে তাদের জীবিকা সহজ ও মর্যাদাপূর্ণ হবে।” তিনি আরো বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ইসলামের চেতনা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়াও তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদকে বিশ্বের অন্যান্য আইকনিক মসজিদের মতো উন্নত ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পূর্ণ করতে কাজ করবেন। “এমনকি মসজিদগুলোর সৌন্দর্য বাড়ানোর মাধ্যমে ধর্মীয় পরিবেশকে আরো প্রাণবন্ত করা হবে,” বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সমান।” তিনি আরও জানান, “কিছু কায়েমী স্বার্থবাদী মহল মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, তবে সরকার তাদের প্রতিহত করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমেদ, এবং অন্যান্য অতিথিরা। সভায় তিন শতাধিক স্থানীয় আলেম-উলামা অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।