ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান সম্প্রতি ইসরাইলের ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে কাতারের দুই দিনের সফরে গেছেন। এই সফরের উদ্দেশ্য হলো গাজার পরিস্থিতি সমাধানে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা।
বুধবার (২ অক্টোবর) শুরু হওয়া এই সফরে পেজেকশিয়ান কাতারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে দোহায় পৌঁছান। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জনমত জোরদার করার চেষ্টা করছেন। কাতার হামাসের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা এই সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পেজেকশিয়ান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ইসরাইল যদি ইরানের বিরুদ্ধে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে, তাহলে ইরান তেল আবিবকে আরও কঠোরভাবে জবাব দেবে।" তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "ইরানকে অস্থিতিশীল না করতে ইসরাইলকে বারণ করুন, কারণ এর মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।"
সফরের আগে পেজেকশিয়ান বলেন, "আমরাও শান্তি ও নিরাপত্তা চাই। ইসরাইল তেহরানে হানিয়াহকে হত্যা করেছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যদি আমরা ব্যবস্থা না নেই, তবে এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু তারা হত্যাকাণ্ড বাড়িয়ে চলেছে।"
এদিকে, কাতারের সফর শেষে পেজেকশিয়ান এশিয়া কো-অপারেশন ডায়ালগের (এএসিডি) শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের আরও সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রভাবিত হচ্ছে। পেজেকশিয়ানের সফর স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক গতিশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।