প্রায় দুই মাস পর মেসির অপেক্ষা শেষ হয়েছে গতরাতে। পেয়েছেন প্রথম লিগ গোলের দেখা, আর নঁতের বিপক্ষে শঙ্কা কাটিয়ে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি।বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে আসার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে এরই মধ্যে তিন গোল করেছেন তিনি। তবে লিগ ওয়ানে এটিই তার প্রথম গোল।নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা ম্যাচটিতে চাপে পড়েছিল পিএসজি। শেষ আধঘণ্টা তাদের খেলতে হয়েছে একজন কম নিয়ে। তবুও জয় পেয়েছে তারা। এই ম্যাচে বড় কৃতিত্ব মেসিরই। তিনি নিজে করেছেন এক গোল, পাশাপাশি অন্য গোলেও ছিল অবদান।
এমবাপেই অবশ্য পিএসজিকে এগিয়ে দেন দুই মিনিট না যেতেই। বক্সের বাইরে থেকে লিয়ান্দ্রো পারেদেস শট নিয়েছিলেন জোরালো, তবে সেটা মাঝপথে পা ছুঁইয়ে দিক বদলে দেন এমবাপে। এমবাপের এমন দারুণ এক নৈপুণ্যেই এগিয়ে যায় পিএসজি। কিন্তু এই গোলের পর আর জালের দেখা পাচ্ছিল না পিএসজি। ম্যাচের প্রথমার্ধে মেলেনি আর গোলের দেখা।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫ মিনিটের সময় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। যে কারণে বাধ্য হয়ে নেইমারকে তুলে নিয়ে বদলি গোলরক্ষক নামান পিএসজি কোচ। পরে ম্যাচে সমতা ফেরায় নন্তে। বদলি গোলরক্ষক সার্জিও রিকো চেষ্টা করেছিলেন ফেরাতে। তবে ব্যর্থ হলে ৭৬ মিনিটে ১-১ হয়ে যায় স্কোরলাইন।
ম্যাচের ৮১ মিনিটের সময় সতীর্থের উদ্দেশ্যে বল এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু সেটি ঠেকাতে গিয়ে স্লাইড করে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন নন্তের ডেনিস আপিয়া। ফলে লিড পায় পিএসজি। এর ছয় মিনিট পর এমবাপে-মেসির রসায়নে জয় নিশ্চিত করে প্যারিসের ক্লাবটি। মাঝমাঠের কাছ থেকে মেসিকে বল এগিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপে। সেটি ধরে খানিক এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই বাম পায়ের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মেসি।এই জয়ের ফলে পিএসজি ১৪ ম্যাচে ১২ জয় আর এক ড্রয়ে আছে লিগের শীর্ষেই। এক ম্যাচ কম খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজির চেয়ে পিছিয়ে তালিকার দুইয়ে আছে লেঁস।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।