ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বিশ্বরেকর্ডের রাতে জিতেছে পর্তুগাল। নাটকীয় ম্যাচে ২-১ গোলে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে।
৩৬ বছর বয়সেও আলোচনার বিষয় উপহারে ঘাটতি নেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। ম্যানচেস্টারে পাড়ি জমানোর রেশ না কাটতেই জাতীয় দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন। ফিরেই নাম তুলেছেন রেকর্ড বুকে। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কাঙ্খিত গোল করে জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বরেকর্ড পূরণ করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত।
রোনালদোর সৌভাগ্যের রাতে, দূর্ভাগ্য আইরিশদের। প্রথমার্ধে জন ইগান এগিয়ে দেন আয়ারল্যান্ডকে। অতিথিরা উৎসবে ভাসছিলো। আর তাদের উল্লাসের আরও একটি কারণ ছিলো রোনালদোকে গোল বঞ্চিত করা। গোলরক্ষক গ্যাভিন বাজুনু ফিরিয়ে দেন সি আর সেভেনের শট।
তবে শেষ পর্যন্ত রাতটা রোনালদোর, সঙ্গে পর্তুগালের জয়োৎসবের। অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে জয়সূচক গোলটিও করেন রোনালদো। দুটি গোলেই মাথা ছুঁইয়েছেন তিনি।
ইরানের আলী দাইয়ের পাশে থেকে নেমেছিলেন। দু গোলে পেছনে ফেললেন তাকে। মোক্তার দাহারি, পুসকাস বা গডফ্রে চিতালুও অনেক পেছনে। এমনকি এ প্রজন্মের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিও ৭৬ গোল নিয়ে অনেক দূরে। ২০০৩ সালে যখন পুসকাসের রেকর্ড ভাঙ্গেন আলী দাই, সেবছরই অভিষেক রোনালদোর।
পর্তুগিজ তারকার ১১১ গোলের সবচেয়ে বেশি ৩৩টি এসেছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। ৩১টি ইউরো বাছাইয়ে। ইউরোতে ১৪, বিশ্বকাপে ৭ গোল।
সৌভাগ্যের রাতে, রেকর্ড ধরা দেয়ায় আপ্লুত রোনালদো নিজেও। বলেন, আমি দারুণ খুশি। শুধু আমার রেকর্ডের জন্য নয়। বরং যা আমরা করে দেখাতে পেরেছি তার জন্য। দুই গোল একদম শেষ মুহূর্তে। আমাদের বিশ্বাস ছিলো আমরা পারবো। আমি সত্যিই আনন্দিত।
অর্জনের ভান্ডারে পূর্ণ সি আর সেভেন। কে সেরা সেই প্রশ্নে তার পক্ষে পরিসংখ্যান। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ইউরো। বিশ্বকাপে আছে হ্যাটট্রিক। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। ৫বার জিতেছেন সেই ট্রফি।
আরও একটি বিশ্বরেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে রোনালদোকে। ইউরোপিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮০ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সার্জিও রামোসের সাথে। বিশ্বরেকর্ড গড়তে হলে মালয়েশিয়ার সো চিন অ্যানের ১৯৫ ম্যাচকে টপকে যেতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।