শিল্পী সংঘের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ২৬শে জুন ২০১৯ ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিল্পী সংঘের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

টেলিভিশন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে গঠিত অভিনয় শিল্পী সংঘের ওপর যেন শনি ভর করেছে। বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটি। সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে আইনি প্যাচেও। সম্প্রতি সংগঠনটির নবগঠিত কমিটির কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সংঘের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। কিন্তু এই নির্বাচনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটা অমান্য করেই নির্ধারিত দিনে নির্বাচন সম্পন্ন করে সংগঠনটি। গত সোমবার নির্বাচিতরা শপথও নিয়েছেন। আর এই কারণেই অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠিত ও নবনির্বাচিত কমিটির কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত রবিবার আদালতে অভিযোগ করেন শেখ মো. এহসানুর রহমান, আবদুল্লাহ রানা ও নূর মুহাম্মদ রাজ্য। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিল্পী সংঘের সকল কার্যক্রমের ওপর মঙ্গলবার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকা জেলার সহাকারী জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আশিকুজ্জামান। শুধু তাই নয়, সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়েছে।

তিনজন বাদী স্বাক্ষরিত পিটিশনটিতে অভিনয় সংঘের সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চুকে ১নং করে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ছয়জনসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়া বিবাদী করা হয়েছে উপ-পরিচালক জেলা সমাজকল্যাণ অফিসকেও। সাচ্চু ছাড়া অন্য বিবাদীরা হলেন শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খায়রুল আলম সবুজ, মাসুম আজিজ ও বৃন্দাবন দাস। আরও আছেন কেএস ফিরোজ, লাকী ইনাম ও নরেশ ভূইয়া।

এছাড়া গত ২৩ জুন আলাদা করে শেখ মো. এহসানুর রহমান এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক রকনুল হককে কোর্ট অর্ডার ছাড়াও ব্যবস্থা প্রহণের জন্য আলাদা করে আবেদন করেন। নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে আনীত অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় একতরফা শুনানি করে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিধান রয়েছে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী। পাশাপাশি আদালতের আদেশ অমান্য করে শুক্রবার কেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, তার আইনি প্রতিকারও চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন শেখ মো. এহসানুর রহমান, আবদুল্লাহ রানা ও নূর মুহাম্মদ রাজ্য বাদী হয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ এনে ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন। আদালত ওইদিনই নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়। কিন্তু সেই আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ২১ জুন রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ঘোষণা হয় ফলাফল। তাতে সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম এবং টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদক হন আহসান হাবীব নাসিম।

ইনিউজ ৭১/এম.আর