প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। প্রতি বছর ঠিক যখন সবাই ফাল্গুনের উৎসবে মেতে ওঠে, তখন ফরিদীর ভক্তদের মনে একটা শূন্যতা নাড়া দেয়। দেশের বিনোদন জগতের শক্তিমান একজন অভিনেতা ছিলেন হুমায়ুন ফরিদী। নিজের চরিত্রকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলতেন তিনি। দর্শকরাও হারিয়ে যেতেন সেই অভিনয়ের মায়া জালে। তিনি দাপটের সঙ্গে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও ইতিবাচক চরিত্রেও তার অভিনয় ছিল অতুলনীয়। শুধু সিনেমা নয় টেলিভিশন নাটক এবং মঞ্চেও তার অভিনয় দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন দর্শকরা।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাংলাদেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে যোগ দেন তিনিও। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি তার পড়াশুনা সম্পন্ন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে তিনি সেলিম আল দীন সহচার্যে আসেন। সেলিম আল দীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ‘নীল নকশার সন্ধানে’ নাটকে অভিনয় করেন। এটি ছিল তার প্রথম টেলিভিশন নাটক। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ‘ভাঙ্গনের শব্দ শোনা যায়’, ‘সংশপ্তক’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’ এবং ‘কোথাও কেউ নেই’- এর মত দর্শকপ্রিয় নাটকে। ‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।