মৌলভীবাজার শহরের জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের পৃথক দুটি ম্যুরাল ভেঙে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ম্যুরালগুলো ভেঙ্গে ফেলে।
ম্যুরাল ভাংচুরের সময় শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, স্বৈরাচারের আস্তানা, এই বাংলায় আর হবে না’, ‘জনে ‘জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের পর শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গণহত্যার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারে না। এদেশে স্বৈরাচার হাসিনা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল। তাই দেশের বড় বড় স্থাপনায় নিজের পরিবারের নাম জোড়ে দিয়েছিলো। আজ বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার মাধ্যমে মুজিববাদের কবর রচিত হলো।’
শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার শহরে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এটি স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীকী কর্মসূচি।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।