শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই- আব্দুল্লাহ আল বেরুনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ, (জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই- আব্দুল্লাহ আল বেরুনী

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেছেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম খেলাধুলা। তিনি বলেন, একটি শিশুকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা অত্যন্ত জরুরি, কারণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি এই মন্তব্য করেন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ৩৬ নং মাহামুদকাঠি (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে।


এ সময় তিনি আরও বলেন, খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো পরিবেশে খেলাধুলা করতে পারলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হতে পারে। খেলাধুলার পরিবেশ না থাকলে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ায় একঘেয়েমি সৃষ্টি হয় এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ হ্রাস পায়।


বেরুনী সৈকত আরও বলেন, খেলাধুলা শুধুমাত্র শারীরিক ও মানসিক উপকারের জন্য নয়, এটি একটি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখা সম্ভব এবং একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়। তিনি বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠিত হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে।"


বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মো: আব্দুল হালিম হাওলাদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো: ইসতিয়াক আহমেদ সোহাগ, মো: মাসফিক আহমেদ সোহেল, মো: মনিরুল ইসলাম, মো: রাজীব রায়হান, যুব নেতা মো: নান্টু মিয়া, মো: মারুফ তালুকদার, মো: মাহমুদ হাসান গোলাপ, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হাসিবুর রহমান সুহান, নেছারাবাদ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আরিফ হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


এদিনের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিভা প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।