রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিনের ওপর ছাত্রদল নেতার হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় ব্যাডমিন্টন খেলার সময়। হাসপাতালের বিডিএস কোর্সের কিছু শিক্ষার্থী বহির্বিভাগের সামনে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এ সময় তাদের অনুরোধে ছাত্রদল সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম সৈকতের স্ত্রীর ভাই কিছুটা দূরে সরে বসেন।
কিছুক্ষণ পর ছাত্রদল সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম সৈকতের স্ত্রী সেখানে উপস্থিত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “আমার স্বামীর কথা শুনে এখানে সব ট্রান্সফার হয়। আমরা চাইলে খেলাও বন্ধ করে দিতে পারি।” তার সঙ্গে থাকা এক মহিলাও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন।
এ অবস্থায় দায়িত্বে থাকা ডা. রুহুল আমিন তাদের সংযত হওয়ার অনুরোধ করেন। পরে ঘটনাস্থলে আসেন ছাত্রদল কর্মী ইফতেখার শিহাব, সালমান রহমান সাদিক এবং মেহেদী হাসান রনি। তারা ডা. রুহুল আমিনকে ডেকে এনে মারধর করেন।
এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল বারী বাবর একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একজন চিকিৎসকের ওপর হামলা ক্ষমার অযোগ্য। ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যদি এমন অপরাজনীতি চালু থাকে, তাহলে ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার।”
হামলায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ইফতেখার শিহাবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, “আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে সবাই ন্যায্য বিচার পাবে। কোনো পক্ষপাত হবে না।”
ভুক্তভোগী চিকিৎসক নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বলেন, “ক্যাম্পাসে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন হামলার শিকার না হয়, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।