পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলার পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলটি দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা শেষে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শুধু পদ্মা সেতু নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলাও পুনঃতদন্তের আওতায় এসেছে। যদিও এ মামলায় তিনি দায়মুক্তি পেয়েছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে সম্পত্তি ও লেনদেনের তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদকের পাঠানো চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লেনদেন বিবরণী, এবং বিদেশে সম্পত্তির তথ্য তলব করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যক্তিগত নথি চেয়ে নির্বাচন কমিশন এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। তদন্তের প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ ও তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, “তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেকোনো প্রভাবমুক্ত হয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চালানো হবে।”
এই সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এ পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। তবে দুদক জানিয়েছে, তারা আইনের আওতায় থেকে সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।