সাফ জয়ী ফুটবলার মনিকা চাকমাকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
সাফ জয়ী ফুটবলার মনিকা চাকমাকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা

দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসন। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই কৃতি ফুটবলারকে সম্মাননা জানাতে ২৭ নভেম্বর বুধবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 


সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেটু কুমার বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেয় চাকমা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রনব কুমার পোদ্দার। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ মু. খালেদ, প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রুপন চাকমা।


মনিকা চাকমার জন্য এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে এই খাগড়াছড়ি অঞ্চলের কৃতি ফুটবলার উচ্ছ্বসিত মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি সত্যিই অভিভূত এবং আপ্লুত। এই বিজয় দেশের জন্য, আপনাদের জন্য। আমি শুধু আপনাদের আশীর্বাদ চাই যাতে আমি আগামীতে আরও বড় অর্জন নিয়ে আসতে পারি এবং বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আরও উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি।”


বক্তারা মনিকার শ্বাসরুদ্ধকর সাফল্যকে প্রশংসা করে বলেন, "মনিকা চাকমা শুধু লক্ষ্মীছড়ির গর্ব নয়, সে দেশের গর্ব। কিন্তু তার বাড়ি যেখানে, সেখানে সহজেই পৌঁছানো যায় না। এখানকার সড়ক ব্যবস্থা, কালভার্ট এবং ইন্টারনেট সুবিধা পর্যন্ত নেই। এর পরও তার অর্জন দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।"


সংবর্ধনা শেষে মনিকা চাকমাকে ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে, তার বাবা-মাকেও সম্মাননা জানানো হয়। 


উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। ২০২২ সালে তারা প্রথম সাফ শিরোপা জিতেছিল। মনিকা চাকমার দুর্দান্ত গোলেই বাংলাদেশ প্রথম গোলটি পায়, যা তাদের জয়ের পথ সুগম করে।


এছাড়া, মনিকা চাকমা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একমাত্র গোল করে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেন। 


এভাবে, মনিকা চাকমার সাফল্য শুধু লক্ষ্মীছড়ি বা খাগড়াছড়ি নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য গৌরবের একটি অধ্যায় হয়ে থাকবে।