দেহব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্য, হুমকির মুখে সোহানা সাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৫ অপরাহ্ন
দেহব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্য, হুমকির মুখে সোহানা সাবা

সম্প্রতি বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে সোহানা সাবাকে নিয়ে প্রকাশিত এক ভিডিও প্রতিবেদন। এক গণমাধ্যমের ভিডিও শিরোনাম ছিল ‘সোহানা সাবার দেহব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস’, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি সরাসরি এই প্রতিবেদনকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন।


সোহানা সাবা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মিডিয়ায় কাজ করছেন এবং বরাবরই বিতর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার নামের সঙ্গে নানা ধরনের নেতিবাচক খবর জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত, শোবিজ শিল্পীদের একটি গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই গ্রুপের নাম ছিল ‘আলো আসবেই’, যেখানে কিছু শিল্পী বিগত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন। সোহানা সাবা ছিলেন সেই গোপন গ্রুপের অন্যতম সদস্য।


যদিও এই বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক ভিডিওটি নতুন করে তাকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দাঁড় করায়। ভিডিও প্রতিবেদনের শিরোনাম এবং এর বিষয়বস্তু দেখে সোহানা সাবা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তিনি সরাসরি এই প্রতিবেদনকে ‘বানোয়াট’ এবং ‘সম্মানহানির প্রচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিজের প্রতিক্রিয়ায় সাবা বলেন, "দেশের একটি গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছে, যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আমার সুনাম নষ্ট করা।"


অভিনেত্রী আরও জানান, এ বছরের শুরুর দিকে একটি প্রতারণামূলক দল তার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন, যাতে কেউ ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। কিন্তু পরবর্তীতে একজন সাংবাদিক এই ঘটনা নিয়ে তাকে ফোন করে কথা বলে এবং তার কথোপকথন রেকর্ড করে, যা তার অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে।


সোহানা সাবা আরও জানান, "একজন নারী হিসেবে আমি আমার সম্মান রক্ষার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, তা এখনই আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি বিকৃত শিরোনামের মাধ্যমে আমার সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে।" তিনি স্পষ্ট করে হুঁশিয়ারি দেন যে, "যদি দুই ঘণ্টার মধ্যে সেই নিউজগুলো ডিলিট না করা হয়, তাহলে আমি প্রমাণসহ আইনের আশ্রয় নেব।"


এই ঘটনার ফলে শোবিজ অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মতামত দিচ্ছেন, কেউ কেউ সোহানা সাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন তার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে। তবে এ ঘটনা সোহানা সাবার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সামনের দিনগুলোতে সোহানা সাবা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসবে। অভিনেত্রীর দাবি অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে করা এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন সরিয়ে নেওয়া না হলে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।