দেশের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মুফতি হাবিবুর রহমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৯ অপরাহ্ন
দেশের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মুফতি হাবিবুর রহমানের

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয় রক্ষা, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বৈষম্য ও ভোটাধিকার রক্ষার্থে এবং জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি বিশাল গণসমাবেশের আয়োজন করেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে হোমস মাঠে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহিপুর থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।


গণসমাবেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিপুর থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন মুসা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা সহ-সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মাদ সেলিম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আর আই এম অহিদুজ্জামান, সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আব্বাসী, ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মেজবা উদ্দিন খান (দুলাল), ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, কলাপাড়া উপজেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আসাদুজ্জামান ইউসুফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোঃ যোবায়ের হোসেন প্রমুখ। গণসমাবেশ পরিচালনা করেন মাস্টার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।


গণসমাবেশে বক্তারা দেশের সাম্য, ন্যায় বিচার ও আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা, দুর্নীতি, লুটপাট, বৈষম্য এবং খুনের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান।


এসময় মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান বলেন, দেশে বর্তমানে ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধা ভূয়া। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ হলো ২৪-এর মুক্তিযোদ্ধা এবং এই লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হলেন ২৪-এর রাজাকার। অনুষ্ঠান শেষে বেশ কয়েকজন যুবক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন।