নায়িকা পরীমণির ক্ষেত্রে রিমান্ডের অপব্যবহার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, পরীমণির মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ডের প্রয়োজন ছিল না।আদালত আরও বলেছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করলেন আর বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করলেন, এটা তো সভ্য সমাজে হতে পারে না।আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পরীমণির জামিন আবেদন নিয়ে নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল সংক্রান্ত রুল শুনানিতে আদালত এসব কথা বলেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, পরীমণির তো জামিন হয়েছে। তাই রুল এখন অকার্যকর হয়ে গেছে। তখন আদালত বলেন, জামিন হওয়ায় রুলের একটি অংশ নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আরেকটি অংশ রয়েছে। এছাড়া পরীমণিকে বার বার রিমান্ডের বৈধতা নিয়ে আরেকটি আবেদন রয়েছে। সে বিষয়ে আমরা আদেশ দেবো। রিমান্ডের বিষয়ে একটি গাইড লাইন আছে। কিন্তু তারা সেটা অনুসরণ করেনি।
আদালত বলেন, কিসের ভিত্তিতে রিমান্ড দিল সংশ্লিষ্ট কোর্টের রেকর্ড কল করতে পারি, ব্যাখ্যা চাইতে পারি।ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারার (জামিন শুনানি সংক্রান্ত) আবেদনগুলো কত দিনের মধ্যে শুনবেন সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন আদালত।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরীমণির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান। রিমান্ডের বৈধতা নিয়ে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন।এদিকে বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন পরীমণি।
কারা ফটক থেকে একটি সাদা গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায় পরীকে। পরীমণি সাদা পোশাকে ছিলেন এবং তাকে বহনকারী গাড়ি থেকে একটু বের হয়ে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে সেলফি তুলেতে দেখা যায়।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরীমণির জামিনের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছানোয় সেদিন তার মুক্তি মেলেনি।
কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পরীমণিকে নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ পরিবারের একাধিক সদস্য।আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কাশিমপুর কারাগারের ফটকে অপেক্ষার করছিলেন পরীমণির স্বজনরা। তাদের সঙ্গে পরীমণির আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্যও ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।