প্রাণহীন বুয়েট। নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কিংবা কর্মচাঞ্চল্য। ছুটি শেষে আজ থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও হলে যায়নি চার ব্যাচ। আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। টানা প্রায় দুই সপ্তাহের ছুটি শেষে কথা ছিল শনিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে একাডেমিক কার্যক্রম। ২০১৫ থেকে ১৮ চারটি ব্যাচ বসবে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায়। তবে আন্দোলনে স্থবির সব কার্যক্রম।
ক্যাম্পাসে চোখে পড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে কিছুটা ক্ষতি স্বীকার করে নিতে প্রস্তুত তারা। তবে নির্ভুল তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধী সনাক্তের প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে চলছে আলোচনা। ভারপ্রাপ্ত ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল বাসিত বলেন, অপরাধীরা যেন ছাড়া না পায়। নিরপরাধ ছাত্ররা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে তদন্ত করতে গেলে একটু সময় লাগবে। ছাত্রদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে সেই সময়টুকু তারা যেন দেয়।
অন্যদিকে, চলমান সংকটে সেশনজটসহ সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা শিক্ষকদের। বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ছাত্ররা সেশন জটে পড়তে পারে। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে যখন পাস করে বের হয়ে যাবে তারা সমসাময়িক অনেকের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। সেই কারণে আমি বলি, ক্লাস নিয়ে দ্রুত সেশন জট কমিয়ে ফেলতে হবে। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।