রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম প্রশাসনিক ভবন ‘বড় কুঠি’ সংস্কৃত মন্ত্রণালয়ের কাছে মালিকানা হস্তান্তর বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যদি বাতিল না করা হয় তাহলে আন্দোলন ছাড়াও যেকোনো পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। গত সোমবার রাতে রাবি শিক্ষক সমিতির এক সভায় এসব সিন্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী।
অধ্যাপক ফারুকী বলেন, রাবি শিক্ষক সমিতির সভায় ৬ নং এজেন্ডার আলোকে বড় কুঠি হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। শিক্ষক সমিতির সিন্ধান্ত অনুযায়ী এখন প্রশাসন যদি এ বড় কুঠি হস্তান্তর করে তাহলে আমরা আন্দোলনে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় তিন সিন্ডিকেট সদস্য নোট অব ডিসেন্ট দিলেও প্রথমে উপাচার্য সেটি অস্বীকার করেছেন। এরপর আবারও সিন্ডিকেট সদস্যরা লিখিত দিয়েছেন। তবুও সংস্কৃত মন্ত্রণালয়কে বড় কুঠির মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাশ করা হয়। এমন অবিবেচক সিদ্ধান্ত কোনো ক্রমেই কাম্য নয়।’ তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে একেক সময় একেক রকম কথাও বলেছেন উপাচার্য বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সংস্কৃত মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯১ তম সিন্ডিকেটে বড় কুঠি সংস্কৃত মন্ত্রণালয়ের কাছে মালিকানা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন শিক্ষকরা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।