স্বস্তির বৃষ্টি শেষে রাবিতে ভোগান্তি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৪ই মে ২০১৯ ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
স্বস্তির বৃষ্টি শেষে রাবিতে ভোগান্তি!

রাজশাহীতে গত কয়েকদিন ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছুঁইছুঁই। তীব্র গরমে দিশেহারা নাগরিক জীবনে গত সোমবারের এক পশলা বৃষ্টি যেন আর্শীবাদ হয়ে এসেছিল। তবে সে বৃষ্টি শেষ হলেও টানা ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির কারণে আবাসিক হলগুলো খোলা থাকলেও ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। আবার সবকয়টি হলে ক্যান্টিন চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবার গ্রহণে অসুবিধায় পড়তে হয়। এদিকে রান্না করে খাওয়ার সুযোগ থাকলেও গত সোমবার বৃষ্টির পর ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েন হলগুলোর শত-শত শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকালের ঝড়ো বৃষ্টির কারণে রাত আটটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলেরই ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শাহ্ মখদুম হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখশ্ হলের ক্যান্টিন চালু ছিল। 

এতে করে এসব ক্যান্টিনগুলোতে অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চাপ বেড়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের খাবার গ্রহণে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। কাউকে আবার হলের বারান্দায় কাঠ, কাগজ পুড়িয়ে ভাত রান্না করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। আবার কেউ সেহরির সময় শুকনো খাবার খেয়েই রাত পার করে দেন।  শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রায়হান কবিরাজ বলেন, হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে রান্না করে খেতে হচ্ছে। এই তীব্র গরমে রোজা রেখে রান্না করা খুবই কষ্টকর। এদিকে গতরাতে বিদ্যুৎ না থাকায় রান্না করা সম্ভব হয়নি। এর আগে কখনও এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নি।

আরেক শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ক্যান্টিনে খাবার না পেয়ে হোটেলে যাই। কিন্তু সেখানেও খাবার শেষ হয়ে গেছে বলে জানানো হয়। পরে আধাঘণ্টা অপেক্ষা শেষে ভাত রান্না হলে খাবার পাই। তবে  তা পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে অনেকেই খাবার না পেয়ে চলে যায়। এটা আমাদের জন্য চরম দূর্ভোগের বিষয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ডাইনিং বন্ধ থাকায় খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। রান্না করেই খেতে হয়। কিন্তু গতকাল রাতে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের খাবার ও সেহরি তৈরি করতে কষ্ট হয়েছে। আবার অনেকে রান্না করতে পারে নি। রাতে মেয়েদের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ না থাকায় অনেকে না খেয়েই ছিল। হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, ছুটির কারণে ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। তবে যেসব হলে ক্যান্টিন আছে সেগুলো আমার জানা মতে খোলা আছে। যদি কোনো ক্যান্টিন বন্ধ থাকে সেটি সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ বলতে পারবেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব