
প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০১৯, ২:৪৬

পহেল বৈশাখ আসতে বাকি আর মাত্র ১০ দিন। প্রতিবারের মতো এবারো বৈশাখকে বরণ করতে কাজ শুরু করেছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদ। আজ মঙ্গলবার থেকে বরণ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এবারের বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ থাকছে লোকজ ঘোড়া, লোকজ পাখি এবং মুখোশের ডামি। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার মুখোশ, ব্যানার-ফেস্টুন থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। এমনটিই জানিয়েছেন চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে সীমিত আকারে কাজ শুরু করেছি মাত্র। তেমন কিছুই তৈরী করা হয়নি। তবে দু-একদিন পর থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। চারুকলা অনুষদে গিয়ে দেখা গেছে, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈশাখ বরণের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এবারের প্রধান আকর্ষণ লোকজ ঘোড়া তৈরীর কাজ করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাগীব শাকিল আর-রাফি বলেন, মঙ্গলবার থেকে ডামি তৈরির উপাদান আনা হয়েছে। কাজ করার জায়গা পরিস্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে মোটামুটি কাজ শুরু হবে। তবে পুরোদমে এখনো কাজ শুরু হয়নি। এদিকে, গত সোমবার প্রস্তুতি সভায় চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. বনি আদম বলেন, চারুকলা অনুষদের তিন বিভাগ যৌথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন করবে। তাই মঙ্গলবার থেকে একসাথে সকল প্রস্তুতি শুরু করবে।
চারুকলার মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রানা বলেন, ‘প্রতিবারের ন্যায় এবারো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের কার্যক্রম শুরু করবো। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমরা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। ছেলেরা লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে কৃষক, রাখালের বেশে অন্যদিকে মেয়েরা সাধারণ শাড়ি পরে কলস কাঁধে শোভাযাত্রা বের করবে।’ এসময় বৈশাখকে বরণ করতে নিতে অনুষদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
চারুকলা অনুষদের তিন বিভাগের তিন শিক্ষক এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের দায়িত্বে রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাঁরা যৌথভাবে উদ্যাপনের প্রস্তুতি পরিচালনা করবেন। তিনজন শিক্ষক হলেন- চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. বনি আদম, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক এবং গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনির উদ্দিন আহাম্মেদ।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব