গত শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির। বিমানবন্দরে এক মিডিয়া কনফারেন্সে অংশ নিতে যাওয়ার পথে তাকে জেরা এবং হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, যেখানে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফেসবুক পোস্টে নূরুল কবির জানান, বিমানবন্দরে তার সঙ্গে যা ঘটেছিল, তার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের দ্রুত তদন্তের সিদ্ধান্ত তাকে আশ্বস্ত করেছে। তিনি লিখেন, “ঢাকা বিমানবন্দরে আমাকে যে হয়রানি করা হয়েছিল তার দ্রুত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে কোনো সাংবাদিককে এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে না, এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।”
ঘটনার পর, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস এবং তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানি সহ্য করা হবে না। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন নূরুল কবির, তবে তিনি উল্লেখ করেন, শাস্তির মুখে পড়া জুনিয়র ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসারকে দায়ী করার বিষয়টি যথাযথ নয়। তিনি দাবি করেন, ওই অফিসার ছিলেন একজন জুনিয়র কর্মচারী এবং শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুসরণ করছিলেন।
নূরুল কবির আরও বলেন, “তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে শালীন ছিলেন এবং আমি দেখেছি তিনি চেষ্টা করছেন আমাকে মুক্তি দিতে। এরপরেও তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যা একেবারেই অনুচিত।” তিনি অভিযোগ করেন, শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আসা তালিকা অনুসরণ করেই ওই জুনিয়র অফিসার কাজ করছিলেন এবং তার শাস্তি দেওয়া হচ্ছে অযথা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সরকারি কর্তৃপক্ষকে উচিত সত্যিকার তদন্ত চালানো এবং যারা এই তালিকা তৈরি করেছেন তাদের খুঁজে বের করা। স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পরেও যদি নিরীহ যাত্রীদের হয়রানি করা হয়, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
এই ঘটনায় সরকার যে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছে, তা প্রশংসিত হলেও, নূরুল কবিরের বক্তব্যের মাধ্যমে বিমানবন্দর কর্মীদের দায়িত্বশীলতার দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।