প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১৭:৩
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক খুব শিগগিরই একীভূত করা হবে। তবে ব্যাংক একীভূত হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মীর চাকরি হারানোর আশঙ্কা নেই। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন না হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ব্যাংকগুলো একীভূত করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। ভবিষ্যতে পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গভর্নর আশ্বাস দেন, ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর করা হতে পারে তবে চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। বিশেষ করে শহর কেন্দ্রীক ব্যাংক শাখাগুলোকে গ্রামে স্থানান্তরের কথা ভাবা হচ্ছে যাতে আর্থিক সেবার পরিধি আরও বাড়ানো যায়।
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কেন্দ্রের পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তারিত বলেন গভর্নর। তিনি জানান, এই ধরনের সম্পদ উদ্ধারে আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নথিপত্র প্রস্তুত করে আদালতে যেতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও অর্থ ফেরত আনার সুযোগ রয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।
গভর্নরের মতে, সম্পদ উদ্ধারের ক্ষেত্রে দুটি পথ খোলা রয়েছে—একটি আদালতের মাধ্যমে, অন্যটি সমঝোতার মাধ্যমে। কোন পথ অনুসরণ করা হবে, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার।
তিনি বলেন, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সরকারের নির্দেশনা পেলেই আইনজীবী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই উদ্যোগ ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনের পাশাপাশি সুশাসন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।