শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে ভর্তি ও বদলি সংক্রান্ত তদবিরের চাপ বেড়ে যাওয়া খুবই উদ্বেগজনক। তবে, লটারি পদ্ধতি চালু থাকলে তদবিরের প্রভাব কিছুটা কমে আসে। তিনি জানান, ‘‘লটারি পদ্ধতি বাদ দিলে তদবিরের সমস্যা এতটা বেড়ে যেত যে, আমাদের জন্য অফিস করা কঠিন হয়ে পড়তো।’’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক লটারি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. খ ম কবিরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে তার tenure-এ ভর্তির নীতিমালা তৈরি হয়েছিল এবং সে সময়ই অনেকেই পরীক্ষা প্রবর্তন করার দাবি তুলেছিলেন। তবে, তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক ভেবে-চিন্তে লটারি পদ্ধতি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ এটাই আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।’’
সচিব আরও বলেন, ‘‘যদি লটারি পদ্ধতি না থাকে, তবে ভালো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো ফলাফল দেখানোর খেলা চলে যাবে এবং খারাপ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পাবে না। এটা একটি বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করবে, যা আমরা হতে দিতে পারি না।’’ তার মতে, লটারি সিস্টেম তদবির বন্ধ করতে এবং সব শিক্ষার্থীকে সমান সুযোগ দিতে সহায়ক।
এছাড়া, তিনি এই পদ্ধতির সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘‘লটারি পদ্ধতি চালু থাকলে সাধারণত ভালো শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো ফলাফল করার প্রবণতা কমে আসে, কারণ এই পদ্ধতিতে সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকে।’’
ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং লটারির টেকনিক্যাল ব্যবস্থাপনায় টেলিটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগের মাধ্যমে লটারি পদ্ধতির ডিজিটালীকরণে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে তদবিরমুক্ত ও স্বচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।