কলাপাড়ায় জলবায়ু অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে র‌্যালী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫২ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় জলবায়ু অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে র‌্যালী

গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়  আজ শুক্রবার  জলবায়ু অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাইকেল র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় আন্দারমানিক নদীর তীরের হেলিপ্যাড মাঠ থেকে র‌্যালীটি শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে র‌্যালীটি শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।


এই সাইকেল র‌্যালীটির আয়োজন করেছিল "ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)", "ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ" এবং "আমরা কলাপাড়াবাসী" সংগঠনগুলো। র‌্যালীতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও অর্থায়ন বৃদ্ধি, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ এবং জলবায়ু ন্যায্যতার দাবির বিষয়গুলো তুলে ধরেন।


র‌্যালীর উদ্বোধন করেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এস, এম, মোশারফ হোসেন মিন্টু। র‌্যালীতে বক্তব্য রাখেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কলাপাড়ার সমন্বয়ক মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এস, এম, মোশারফ হোসেন মিন্টু, "আমরা কলাপাড়াবাসী" এর সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, "প্রান্তজন" এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর সাইফুল্লাহ মাহমুদ, এবং সংগঠক কামাল হাসান রনি।


গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস একটি বৈশ্বিক কর্মসূচী যা কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপের জন্য প্রচারণা চালায়। বাংলাদেশে, এই কর্মসূচীটি বিশেষভাবে জলবায়ু অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে থাকে। বিশেষ করে কপ ২৯ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক একটি বড় চুক্তির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচীটির মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি পরিত্যাগ, জলবায়ু ন্যায্যতা এবং যুদ্ধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়গুলোও গুরুত্ব পাবে।


আয়োজকরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশ বিপদে পড়বে। কলাপাড়া, পটুয়াখালী, বরগুনা ও অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, এবং এজন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর জলবায়ু অর্থায়ন এবং ক্ষতিপূরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এছাড়া, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবিত জনগণের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্বশীল হতে হবে বলেও জানান বক্তারা।