থাপ্পড়ের কারণে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাদল মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৭শে আগস্ট ২০২০ ১২:৫৯ অপরাহ্ন
থাপ্পড়ের কারণে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাদল মিয়া

রাগ ও ক্ষোভের কারনে আপন দুই ভাই বোন কে খুন করেন তাঁদের আপন মামা । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে স্কুল পড়ুয়া ভাই বোনকে হত্যার ঘটনায় তাদের আপন মামা বাদল মিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তাদের বাবা। বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা থেকে আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে মামা বাদল মিয়া। এ ঘটনায় বাদলকে আসামি করে দু-সন্তানের হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তাদের বাবা কামাল হোসেন।

পুলিশ জানায়, বাদল বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্যে তিন বছর আগে বোন জামাই কামাল হোসেনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। এরমধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় বোন জামাইয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। সপ্তাহ খানেক আগে বাদলকে এজন্যে থাপ্পড়ও মারেন কামাল উদ্দিন। এই ক্ষোভে ভাগ্নেকে খুন করেন তিনি। ভাগ্নি দেখে ফেলায় তাকেও খুন করে সে। তাদের দু-জনকেই জবাই করে হত্যা করা হয়। 

সলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেব নগর গ্রামে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে শিফা আক্তার (১৪) ও তার ভাই কামরুল হাসান (১০) এর মরদেহ সোমবার রাতে পুলিশ উদ্ধার করে। শিফা  বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ও কামরুল সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।ওইদিন বিকেলে কামরুল নিখোঁজ হয় প্রথমে। তাকে খুঁজতে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় শিফাকে ঘরে রেখে যান তার মা হাসিনা আক্তার। পরে ঘরে এসে দেখেন শিফাও নেই।

নিখোঁজ দু’জনের খোজ পেতে এলাকায় মাইকিং করা হয় এবং রাত সাড়ে ৮টায় থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চান তাদের বাবা-মাসহ স্বজনরা।জানা যায়, ঘটনার দিন ভাগ্নে কামরুল বাদলের কক্ষে গেলে সে কক্ষের দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যা করে। পরে লাশ ঘরের ভেতর খাটের নিচে রেখে দেয়। ভাগ্নি শিফা ঝাড়ু দিতে এসে তা দেখে ফেললে তাকেও জবাই করে হত্যা করে বাদল। বাদল হোমনা উপজেলার খুদে-দাউদপুর গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। সে বাহরাইন থেকে লকডাউনের আগে দেশে আসে। দেশে আসার পর হোমনায় একটি মামলার আসামি হয়ে ১৫ দিন আগে বাঞ্ছারামপুরে বোনের বাড়িতে আসে। ঘটনার পর থেকেই বাদল পলাতক ছিল।