
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২০, ৩:০

প্রথম দুইবার টার্গেট করেও পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল। তৃতীয়বার সফল হতে দীর্ঘ সময় নিয়ে গাজীপুরের ইনক্রেডিবল ফ্যাশন্স লিমিটেড নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতনের টাকা ছিনিয়ে নেবার পরিকল্পনা করে ডাকাত দল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কর্মী সেজে গার্মেন্টসে কাজও করেন ডাকাত দলের এক সদস্য।
সর্বশেষ গত ৭ জুন মাত্র ৫-১০ মিনিটে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে ৮০ লাখ ২২ হাজার টাকা লুটে নেয় ডাকাত দলটি। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সুরিচালা এলাকায় ওই কারখানার মাইক্রোবাস থেকে এই লুটে নেয়ার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জুন রাতেই পোশাক কারখানাটির জেনারেল ম্যানেজার (প্রডাকশন) খোরশেদ আলম (৬০) কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন। এরপর শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।

সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, 'পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোরঞ্জন ওই গার্মেন্টসে সাব-কন্টাক্টের কর্মী হিসেবে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আসা-যাওয়া শুরু করেন। এর আড়ালে তিনি গার্মেন্টসের অন্যান্য কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী, পার্শ্ববর্তী দোকান ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করেন। তার তথ্যের ভিত্তিতেই ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। তবে তাদের এপ্রিলে প্রথম ও মে'তে দ্বিতীয় দফায় ডাকাতির পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কারণ, এপ্রিলের বেতন দেয়া হয়েছিল মোবাইল ব্যাংকিংয়ে এবং মে মাসের বেতনের টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল পুলিশ স্কটের (টাকা বহনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ স্কট সরবরাহ করা হয়ে থাকে) মাধ্যমে।'
ঘটনার বিবরণে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও বলেন, 'পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন প্রথমে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে ছয়জন একটি সুবিধাজনক স্থানে মিলিত হয়। পেছনের আরোহীদের সবাই অস্ত্র বহন করেছিল।অন্যদিকে ছিনতাইয়ের টাকা বহনের জন্য একটি প্রাইভেটকার জামগড়া নামক স্থানে অপেক্ষা করছিল। মনোরঞ্জন গার্মেন্টস এলাকা থেকে ডাকাত দলটিকে প্রতি মূহুর্তের তথ্য সরবরাহ করছিল।'

'বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইলে মূলহোতা জলিলকে টাকা উত্তোলনের জন্য গার্মেন্টসের লোকজন মাইক্রোবাসে করে ব্যাংকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বলে জানায় মনোরঞ্জন। তথ্যের ভিত্তিতে সফিপুরে অপেক্ষমাণ তিনটি মোটরসাইকেল নিরাপদ দূরে থেকে মাইক্রোবাসটি অনুসরণ করতে থাকে।'