উল্লাপাড়া সহ সিরাজগঞ্জের গ্রামান্ঞ্চলে গরু চুরির হিরিক পড়েছে। দুই এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই চুরির ঘটনা ঘটছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরির পর পিকআপ বা নছিমনে করে তা পরিবহন করা হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা দুরের গন্তব্যে পাড়ি জমায়।
এমনই কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে উল্লাপাড়ার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রামে। এর মধ্যে মাওলানা আবু বকরের ( সুপার) প্রায় দেড় লাখ টাকার ষাড় চুরি হয়।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই একই গ্রামের আতাব আলীর ছেলের দুইটি গরু চুরি হয়।যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ টাকা।এর পর গত রাতে (১৬ মার্চ ২০২৪ ইং) একই গ্রামের রহিমুদ্দিন সেখের ছেলে আমজাদ আলীর তিনটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এর মাত্র কিছুদিন আগে রায়গঞ্জের ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের আফিল উদ্দিনের ষাড় গরু সহ আরো অনেকের গরু চুরি হয়। গত মাস তিনেক আগে তাড়াশের মাধাই নগর ইউনিয়নে ঝুরঝুরি গ্রামের আলহাজ্ব ওমর আলীর পাঁচটি গরু চুরি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গরু চুরির সময় চোর চক্র গরুর মালিকের বাড়ি সহ আশপাশের সব বাড়ির দরজা বাহির থেকে শিকল দিয়ে আটকে দেয়,যাতে কেউ বের হতে না পারে।
এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে মানুষেরা গরু পালনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং মাংশ ও আমিষের চাহিদা পুরুনের পথ চিরতরে বন্ধ হবে এমনি আশঙ্কা সাধারণ জনগনের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।