ঝালকাঠির বিনয়কাঠিতে খায়রুল বাসার নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো দুরসম্পর্কের স্বজনদের সাথে। যদিও আদালত থেকে পক্ষে রায় পেয়ে ঢাকায় বসবাস করেন ষাটোর্ধ বয়সী খায়রুল বাসার। তিনি পরিবার নিয়ে কেরানীগঞ্জে থাকেন। সেখানে তার ফার্মেসী ব্যবসা রয়েছে। আর গ্রামের বসতঘরটি তালাবদ্ধ থাকে।
ঈদের পর ২৫ এপ্রিল স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে আসেন খায়রুল বাসার। তারা বাড়িতে ঢুকতেই পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে দুপুর নাগাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লিটন সরদার বহিরাগতদের নিয়ে বসত ঘরে ঢুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে খায়রুল বাসার, তার স্ত্রী পারভীন বাসার, দুই পুত্র মো. মিরন সরদার এবং সৌরভ সরদারকে।
ঘটনার পর পুলিশের জরুরী সেবা (৯৯৯) নম্বরে কল দিলে বিনয়কাঠি ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়া আহত চারজনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়।
আহত খায়রুল বাসার ও তার স্ত্রী মুক্তিযোদ্বার কন্য পারভীন বাসার বলেন, আমরা সবাই ঢাকায় থাকি। গ্রামের তালাবন্ধ বসত ঘরের ক্ষতি সাধন করে প্রতিপক্ষরা। আমরা এসে প্রতিবাদ করলে ওরা আমাদের ঘরে ঘুকে মারধর করেছে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে ফিরে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
অভিযুক্ত লিটন সরদার বলেন, 'আহতরা আমার শত্রু নয়। আমি গতকালের ঘটনা জানিনা। তবে স্থানীয়দের সাথে মারধরের ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি লোকমুখে শুনেছি।'
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নসির উদ্দিন সরকার বলেন, 'ঘটনাস্থলে ক্যাম্প পুলিশ গিয়েছিলো। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।