পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকে জাটকা নিধনের উপরে। তবে মৎস্য দপ্তরের ভাষ্যমতে সারা বছরই জাটকা সংরক্ষণ ও অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংসকরণ অভিযান চলমান কার্যক্রম। এমন শব্দের দলিল থাকলেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্র।
বরিশালের হিজলা উপজেলার প্রতিটি বাজারে প্রতিদিনই জমজমাট থাকে জাটকা মাছে। ব্যবসায়ীদের ঝুড়িতে ঝুড়িতে আর ককসিট বক্সে বহনকরা জাটকায় সয়লাব থাকে বাজার। একশত টাকা হালি বিক্রি হয় সেগুলো। বাজারের এমন দৃশ্য দেখে অনুমান করা যায় জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম কতোটা কার্যকর !
বিগত বছর গুলোতে ব্যবসায়ীরা বাজারে জাটকা চুপিসারে বিক্রি করলেও এ বছরে তা ওপেন সিক্রেট। বাজার যখন জাটকায় জমজমাট তখন বুঝতে কারো অসুবিধা নেই যে নদী কতোটা অরক্ষিত রয়েছে। তাহলে প্রশাসনিক দুর্বলতায় না কি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অবাধে নিধন হচ্ছে জাটকা, এমন প্রশ্ন অনেকেরই।
হিজলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এম এম পারভেজ ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে অফিসে না থাকায় তার অফিস সহকারী মোঃ রাকিব হোসেনের দেয়া তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য অফিস নদীতে কম্বিং অপারেশন করেছেন। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপ,
১৯ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপ, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের কম্বিং অপারেশন শেষ হয়েছে। এসময় কারেন্ট জাল ও অন্যান্য জালসহ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজনকে আটক করে মৎস্য আইনে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই চতুর্থ ধাপের আরও একটি কম্বিং অপারেশন রয়েছে।
অনেকেই জানিয়েছেন কম্বিং অপারেশন চলাকালেও বাজারে প্রচুর জাটকা বিক্রি হয়েছে। কাগজে-কলমে কম্বিং অপারেশন চললেও তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি বাজার গুলোতে। এভাবে নিয়মিত অবাধে জাটকা নিধন চলতে থাকলে আবারও রূপালি ইলিশ উৎপাদন সংকটে পড়বে দেশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।