মেহেরপুরের গাংনীতে মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় আজগর আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে ড্রেজার মেসিন দিয়ে বালি উত্তোলনের কারনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুল আলম। কারাদন্ডপ্রাপ্ত আজগর আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি কোলা গ্রামের আবুবক্কর আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুল আলম বলেন, আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেসিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।
বালি উত্তোলনের দায়ে আজগর আলী নামের এক ব্যক্তিতে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এসময় উত্তোলনকৃত বালি ও দুই স্যালো মেসিনযুক্ত ড্রেজার জব্দ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিলামে বিক্রি করে সরকারী কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা বলেন,একটিকুচক্রী মহল মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে বিষয়টি জানতে পেয়ে জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানানো হলে ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে।
আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেন বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড মাথাভাঙ্গা নদীর গ্রাস থেকে আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে অথচ অবৈধভাবে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে বালি উত্তোলন করে বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ন করে তুলছে।
এবিষয়ে বালি উত্তোলনকারী মেহেরপুর সদরের মিনারুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি ধরেনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।