গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া, সেই ননদ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি - লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:১৯ অপরাহ্ন
গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া, সেই ননদ গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী গ্রামে যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে (২০) মারধর করে মাথার এক অংশ ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী মো. হাসানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।


মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে একই দিন সকালে ভুক্তভোগীর ননদ পাখি বেগমকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।


অন্য আসামিরা হলেন, ভুক্তভোগীর শাশুড়ি ফাতেমা বেগম ও ননদ রাবেয়া বেগম।



স্থানীয়রা জানান, ভোলার ইলিশা এলাকার রুমা আক্তারের সঙ্গে সাড়ে ৩ বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনি মোহন এলাকার মো. হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এই টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে তার চুল ফেলে দেওয়া হয়। ন্যাড়া করে দেওয়ার পর হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করে পালিয়ে যায় স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ভুক্তভোগী নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।


এদিকে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী গ্রাম থেকে অভিযুক্ত পাখি বেগমকে আটক করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে হাসান পলাতক রয়েছে।


ভুক্তভোগীর দাবি, হাসান আমার পরিবারের কাছ থেকে এর আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছেন। এখন আবার ৩ লাখ টাকা দিতে মা-বাবার কাছে বলার জন্য আমাকে চাপ দেন। আমার বাবা গরিব মানুষ। তার কাছে এতো টাকা চাওয়া সম্ভব না। বাবার কাছ থেকে টাকা চাইতে পারব না জানালে আমার হাত-পা বেঁধে মারধর করে সামনের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।


চররমনি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিব বলেন, যৌতুকের জন্য প্রায় রুমা আক্তারকে নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।


লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, গৃহবধূকে মারধর করে ন্যাড়া করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক পাখিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।