ভোলার মনপুরায় উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের সময় ৭ জেলে ট্রলারে হামলা এবং ট্রলারসহ ৭ জেলে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর বিরুদ্ধে। অপহরণ করার পর দস্যুরা পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করছে। এ খবরে অপহৃত ৭ জেলে পরিবারের স্বজনদের ফিরে পেতে চলছে আহাজারি।
জানা যায়, শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করা অবস্থায় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী মনপুরার বাবুল মাঝির ট্রলারে হামলা চালায়। এক পর্যায়েস্থানে থেকে ইসমাইল মাঝি, সোহেল সুকানি, জাহাঙ্গীর মাঝি, সোহেল মুন্সি, রিয়াজ মাঝি ও বাছেত মাঝির জেলে ট্রলারে হামলা চালায়। পরে অস্ত্রের মুখে একটি ট্রলারসহ প্রত্যেক জেলে ট্রলারের প্রধান মাঝিসহ ৭ জেলে তুলে হাতিয়ার চরচেঙ্গা গহীন বনে নিয়ে যায়। অপহরণের পর থেকে দস্যুরা জেলের পরিবার, আড়ৎদার ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সকাল সাড়ে ১০টায় মোবাইল ফোনে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। দাবিকৃত টাকা না দিলে অপহৃত জেলেদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে জলদস্যুরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন, মো. বাবুল মাঝি (৩২), মো. ইসমাইল মাঝি (৩৫) মো. সোহেল সুকানি (৪০), মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৩৫), মো. সোহেল মুন্সি (৩৮), মো. রিয়াজ মাঝি (৩২) ও মো. বাছেত মাঝি (৪৫)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
জেলে অপহরণের বিষয়ে নিশ্চিত করে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও অপহৃত জেলেদের আড়ৎদার অলি উল্লা কাজল বলেন, 'আমার আড়তের ৭ জেলেসহ এক ট্রলার অপহরণ করে নিয়ে গেছে হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী। অপহরণের পর থেকে তারা মোবাইল ফোনে মুক্তিপণের জন্য একাধিক বার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।' অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।
এদিকে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, চরপিয়াল হাতিয়ার সীমান্তে মনপুরার ৭ জেলেকে অপহরণের ঘটনা মৌখিক শুনেছি। জেলেদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন এর মনপুরা কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. বেলায়াত হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। জেলেদের উদ্ধার হলে জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।