স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করে সংসার ছাড়েন স্ত্রী। আর সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে কিশোরী (১৪) শ্যালিকাকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায়। পরে মামলার পর গত শনিবার রাতে উপজেলার কলমাকান্দা গ্রাম থেকে ওই শ্যালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অপহরণের তিন মাস সাত দিন পর এক মাদ্রাসাছাত্রী কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিশোরীর অভিযোগ, ‘জোর করে তুলে নিয়ে ভগ্নিপতি শারীরিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করে। ’
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার কলাকান্দা গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ মিয়া (২৮ )।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, মুক্তাগাছা উপজেলার কলাকান্দা গ্রামের বুরহান উদ্দিনের ছেলে মো. ফরহাদ মিয়া (২৮)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। গত ২০১৫ সালে ফরহাদ নিজ উপজেলার একটি গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের মেয়েকে বিয়ে করেন। সেই সংসারে চার বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু বিশ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ফরহাদ। পরবর্তীতে অবশ্য সংসারে ফেরানোর চেষ্টাও করেন। তাতে স্ত্রী রাজী না হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর শ্যালিকাকে তুলে নিয়ে যান ফরহাদ। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে কিশোরীকে তুলে নিয়ে গেলে পরিবার ও স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে মেয়ের খোঁজ করেন। একপর্যায়ে পরিবারটি জানতে পেয়ে ভগ্নিপতি ফরহাদ তুলে নিয়ে গেছে। পরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কিশোরীর মা মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে সেটি মামলা হিসাবে রুজু হয়।
উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী কিশোরীকে আদালতে নেওয়া হলে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। পরে আদালত ভুক্তভোগীকে তার মায়ের জিম্মায় দেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।