জেকা বাজারের মালিককে নিয়ে সিআইডির অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৮ই জুলাই ২০২২ ০৪:২৩ অপরাহ্ন
জেকা বাজারের মালিককে নিয়ে সিআইডির অভিযান

রাজবাড়ীতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘জেকা বাজার’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাবিউল্লাহ খান জাবেরকে নিয়ে তার অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।


রবিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী পৌর শহরের নান্নু টাওয়ারের তৃতীয় তলায় জেকা বাজারের কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি রাজবাড়ীর ২০ হাজার গ্রাহকের নিকট থেকে ৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে এমন অভিযোগ রয়েছে।


এর আগে ১০ মাস আত্মগোপনে থাকার পর রাজবাড়ীর সিআইডি পুলিশ ফরিদপুরের আলীপুর এলাকা থেকে শনিবার বিকেলে জাবেরকে গ্রেফতার করে।


জাবিউল্লাহ খান জাবের রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।


অভিযান পরিচালনার সময় সিআইডি রাজবাড়ী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান আবুল হোসেন, পরিদর্শক জিল্লুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


রাজবাড়ী সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো: জিল্লুর রহমান বলেন, নানা ধরনের প্রসাধনী, স্বল্প মূল্যে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় জেকা বাজার। জেকা বাজারের মালিক জাবের উল্লাহ রাজবাড়ী জেলার প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এসব টাকা দিয়ে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে ঢাকা, রাজবাড়ী শহর, কালুখালীতে জমি ও ফ্লাট কিনেছে প্রতিষ্ঠানটির মালিক।


তিনি আরো জানান, গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়াসহ দেয়। জেকা বাজারে টাকা বিনিয়োগ করা গ্রাহকরা তার বিরুদ্ধে মামলা করে। গ্রাহকদের মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেয়া হয়। তাকে গ্রেফতার করার পর রাজবাড়ী শহরের নান্নু টাওয়ারে জেকা বাজার অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।


এদিকে, কালুখালী উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের বাড়িতে জাবি উল্লাহ খান জাবেরকে তার বাবা সংবাদ সম্মেলনে ছেলের অনৈতিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবনের অভিযোগে রাজবাড়ী আদালতের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমেও ত্যাজ্য ঘোষণা করেন। 


উল্লেখ্য, ২০২১ সালের (২ নভেম্বর) রাজবাড়ী পৌর শহরের পান্না চত্বরের নান্নু টাওয়ারে জেকা বাজার লিমিটেডের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে রাজবাড়ী জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ওই সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে থাকা নকল পণ্য হওয়ায় তাদের দু’লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তারপর প্রতিষ্টানটি সিলগালা করা হলে তখন থেকেই পলাতক ছিলেন জাবের।