হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে প্রেম সংঘটিত কারণে সহকর্মীর ধারালো ইস্পাতের আঘাতে সুজন বৈষ্ণব (২৫) নামের শ্রমিক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় অপর ঘাতক শ্রমিক মিন্টু মিয়াকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন বানিয়াচং উপজেলার করচা গ্রামের সুমলাল বৈষ্ণবের ছেলে এবং আটক মিন্টু শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উলুহর গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। তারা দুইজনই প্রাণ আরএফএল কোম্পানির মেশিন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। জানা যায়, তারা দুইজনই ওই কোম্পানীর মেশিন সেকশনে অপারেটরের কাজ করতো। এক পর্যায়ে সুজন এক কোম্পানীর এক শ্রমিকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গতকাল ওই সময় মিন্টু তার প্রেমিকাকে নিয়ে কটুক্তি করে।
এক পর্যায়ে সুজন ও মিন্টুর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। মিন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে হাতের কাছে থাকা ধারালো একটি ইস্পাতের টুকরো দিয়ে সুজন বৈষ্ণবের বুকে ও পেটে আঘাত করে। তাৎক্ষণিক অন্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তখন অন্যান্য শ্রমিকরা মিন্টুকে আটক করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিন্টুকে থানায় নিয়ে যায়।
সদর থানা পুলিশ সুজনের লাশের সুরতহাল তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, মিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। আজ সোমবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখাকালে কোনো মামলা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।