চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন হোসেন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আপনের বাবা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল কালাম (৪২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আপন হোসেন (২০) ফুলবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। আটককৃত কালাম ওই গ্রামেরই বানাত উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেন ও তাঁর ছেলে আপন হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় আবুল কালামের বাড়ির পাশ দিয়ে পানির নালা কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। পরে আবুল কালাম ও পরিবারের সদস্যরা আপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আপনকে বাঁচাতে তাঁর বাবা মোতালেব এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আপন হোসেন মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে ভর্তির পরে আপন মারা যায়। আহত মোতালেবের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তাকেও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফকরুল আলম খান বলেন, নিহত আপন ও তার বাবা মোতালেবকে জখমের ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আপনের চাচা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দুজনের নামে একটি মামলাটি করেন। মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি কালামের স্ত্রী জাহি বেগম পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত কালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদেশ আগামীকাল হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।