প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২১, ৩:৩১
বরিশাল নগরীতে প্রতিবেশীর হামলায় এক বৃদ্ধার হাতের আঙ্গুল কর্তন ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হরিনাফুলিয়া খান মার্কেটের মধ্যবর্তী এলাকায় (১৩জুলাই) মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন-দক্ষিন হরিনাফুলিয়া এলাকার মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৬৫) ও তার ছেলে মোঃ তসলিম হাওলাদার (৩৫)।আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও তসলিম হাওলাদার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ২৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হরিনাফুলিয়া এলাকার মোঃ সুরুজ (৩৬),মোঃ সবুজ (৩২), ঝুমুর (৩৪), মেরি আক্তার (৫৫), সাব্বির (১৮), বারেক (৫৫) ও মিরাজ (২০) সহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজন হামলায় অংশগ্রহন করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হরিনাফুলিয়া খান মার্কেটের মধ্যবর্তী এলাকায় মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও মোঃ ইসহাক মোল্লা একে অপরের প্রতিবেশী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছেন। তবে মাঝে মধ্যেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইসহাক মোল্লার পরিবার দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদ ও গালাগালি করতো।
এরই জের ধরে মঙ্গলবার (১৩জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে দেলোয়ার হোসেনের নাতি তাহমিদ (৬) ভুলবশত ইসহাক মোল্লার বাড়ির রাস্তার পাশে রোপণ করা ছোট একটি আমের চারা উঠিয়ে ফেলে। সেটা দেখার সাথে সাথেই ইসহাক মোল্লার স্ত্রী মেরি আক্তার ও তার মেয়ে ঝুমুর দেলোয়ার হোসেনের পরিবারকে উদ্দ্যেশ্য করে অকাথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
একপর্যায় দেলোয়ার হোসেনের পুত্র তসলিম হাওলাদার এসে তাদেরকে গালাগালি করতে নিষেধ করলে ইসহাক মোল্লার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা তসলিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পরবর্তীতে তসলিম নিজেকে রক্ষার জন্য দৌড়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে গিয়ে তার বাবা দেলোয়ার হোসেনকে ফোন করলে তিনি দ্রুত বাড়িতে চলে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ইসহাক মোল্লার পরিবারের নেতৃত্বে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা, লাঠি দিয়ে দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দেলোয়ার হোসেনের বাম হাতের একটি আঙ্গুল মারাত্ত্বকভাবে জখম হলে ৬টি সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরতর যখম হলে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানান শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।