অভাব-অনটনের সংসারে চতুর্থবারের মতো কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায় পুকুরে ফেলে ৮ দিন বয়সী শিশুকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ মা শ্যামলী ঘোষের বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার (২ জুন) ভোরে তালার রায়পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শ্যামলীকে আটক করে পুলিশ। শ্যামলী ঘোষ তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মানিক ঘোষের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, শ্যামলী ঘোষের এর আগেও ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। অভাব-অনটনের সংসারে চতুর্থ বারের মতো আবারও জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। পরে মঙ্গলবার ৮দিন বয়সী শিশু কন্যাকে সবার অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন মা শ্যামলী।
বাড়ির লোকজন সারাদিন শিশুটিকে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে শিশুটির মা শ্যামলী ঘোষ রাতে বিভ্রান্তমূলক কথা বলতে থাকেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি শিশুটিকে পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেন।
এরপর রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে তালা থানা পুলিশে খবর দেয়। বুধবার সকালে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
শ্যামলী ঘোষের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন কন্যা সন্তানের পর আবারও কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী মানিক ঘোষ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় অভাবের তাড়নায় শ্যামলী ঘোষ কন্যা শিশুটিকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা শ্যামলী ঘোষকে আটক করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।