আবুল খায়ের গ্রুপের পরিবেশক খাজা ট্রেডার্সের গুদাম থেকে ৩৩ লাখ টাকার সিগারেট ডাকাতির অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এনায়েতুল্লাহ শান্ত এবং তার বাবা কুমিল্লা স্টেশন রোডের মুদি ব্যবসায়ী শাহজাহানসহ ডাকাতির মূল হোতা নূরনবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩১ মে) ভোরে কুমিল্লা সদর থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া ৯২ কার্টন সিগারেট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এনায়েতুল্লাহ বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগটির চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক পার্থ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, 'বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভাগের জন্য খুবই দুঃখজনক। কিন্তু শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা ব্যাচের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতো না। এমনকি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও দিতো না। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের এবং সিএসই বিভাগের অষ্টম ব্যাচের ছাত্র।'
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, নূরনবীর নেতৃত্বে এই চক্রে রয়েছে ২৫-৩০ জন যারা শুধু সিগারেট লুট করে। গত ৭ বছরে বিভিন্ন জেলায় ৩০টি ডাকাতির ঘটনায় অন্তত ১০ কোটি টাকার সিগারেট লুট করেছে তারা।
তিনি আরও জানান, ডাকাত চক্রটি খুবই ভয়ংকর। কেউ বাধা দিলে খুন করতেও দ্বিধা করে না, এমনকি এই পর্যন্ত দুইজনকে হত্যার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র এবং রশি থাকে। কেউ বাধা দিলে তাকে বেঁধে ফেলে এমনকি গুলিও করে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এবং খাজা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মীর হোসাইন পারভেজ বলেন, একটি ট্রাকে করে ১০-১২ জন ডাকাত আসে। তাদের সাথে দেশীয় অস্ত্রও ছিলো। তারা তালা ভেঙে সিগারেট লুট করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, নূরনবী যে লুট করা সিগারেট বিক্রি করতো তা জানতো না বলে দাবী করেছে শান্ত এবং তার বাবা। মূলত শান্ত ও তারা বাবা শাহজাহান ছিলো লুট করা সিগারেটের ক্রেতা। নূরনবী ও তার গ্যাং সিগারেট লুট করে তাদের কাছে কম দামে বিক্রি করতো।