বরিশালে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মিত হলেও এর সুফল পাচ্ছেনা বরিশালবাসী । ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট দুটি নির্মাণ মানসম্পন্ন না হওয়ায় এখনো তা বুঝে নিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন কর্মকর্তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আতাঁত করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজে
দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। এদিকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় তীব্র পানিসঙ্কটে রয়েছে নগরবাসী।
সূত্রমতে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে কীর্তনখোলা নদীর তীর ঘেঁষে বেলতলা ও রূপাতলীতে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের দায়িত্ব নেয় বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৬ সালের জুনে নির্মাণ কাজ শেষে, কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে ৩৫ শতাংশ নদীতে চলে যাওয়ায় সক্ষমতা হারায় বেলতলার প্ল্যান্টটি। রূপাতলীর প্লান্টটিতে ৪৫০কেভি বিদ্যুতের সাব স্টেশনের জায়গায় বসানো হয় ২৫০ কেভি বিদ্যুৎ সাব স্টেশন।
বরিশাল নগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ছয় কোটি গ্যালন। সরবরাহ করা হয় মাত্র দুই কোটি ৭০ লাখ গ্যালন। সরবরাহ করা ওই পানিও নগরীর সব বাসিন্দারা পাচ্ছেনা। নগরীর প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকায় এখনও পানি সরবরাহ লাইন স্থাপিত হয়নি।
অথচ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট দু’টি সচল থাকলে প্রতিদিন এক কোটি ৬০ লাখ লিটার পানি পরিশোধন করা যেতো। নগরবাসীর বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্মিত ৯৯ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনও অকেজো পড়ে থাকতো না। পাশাপাশি নগরবাসীর পানি সংকট দূর করা সম্ভব হতো।
অপরদিকে সদ্য নির্মিত প্লান্ট দুটি সংস্কারের মাধ্যমে ৭০ ভাগ ব্যবহার করা সম্ভব বলে দাবী করেন জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী।
তবে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট দুটি নির্মাণে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নগরবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।