টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাতে খেলতে পারে সেজন্য ভারত সফরের আগেই সাকিব আল হাসান নিজেই নিষেধাজ্ঞা পেতে চেয়েছেন। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। আকরাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি যে, এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, কেন ভারত সিরিজের আগেই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো।
তিনি বলেন, আকসু সাকিবকে বলেছে, এখন যদি শাস্তির ঘোষণা না আসে, তাহলে আরও কিছুদিন পরে হলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। সে হিসেবে ভারত সিরিজের মাঝামাঝিতে এই ঘোষণা আসতো। যা দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো। আর সাকিব তা চায়নি। আকরাম খান আরও জানান, এছাড়াও সাকিব আরও বলেছে, যদি শাস্তির ঘোষণা আরও পরে আসে তবে তার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে না। তাই সে এখন নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। এর ফলে বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা হলেও থাকবে।’
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেন সাকিব। তবে বিষয়টি তিনি আইসিসি বা আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটকে (আকসু) জানাননি। এর দায়ে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। যদিও প্রথমে নিষেধাজ্ঞাটা ছিল দুই বছর। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছর শিথিল করা হয়। এ সময়ে ফের অপরাধ করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।