বাংলাদেশ ক্রিকেটে আপাতত সাকিব আল হাসান অধ্যায়ের ইতি। এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হবে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে। জুয়াড়িদের অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন রেখেই ক্যারিয়ারের সর্বনাশ করলেন সাকিব। এক বছর পর নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে সাকিবের। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর থেকে ফের মাঠে নামতে কোনো বাধা থাকবে না তার। কিন্তু এরইমধ্যে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাকিবকে মিস করবে বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে ছাড়াই লড়তে হবে টানা একবছর।
শুরুতেই ভারত সফর। বুধবারই দিল্লির পথে ঢাকা ছাড়ার কথা বাংলাদেশ দলের। যেখানে সাকিব না থাকায় দলের নেতৃত্বে এসেছেন টেস্টে মুমিনুল হক আর টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সফরে ভারতের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি আর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ভারত সফর থেকে ফিরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের আয়োজন। ডিসেম্বরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এখানেও থাকতে পারছেন না সাকিব। ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সিরিজ। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে ১২ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট ও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দল। কিন্তু এই লড়াইয়েও দেখা যাবে না সাকিবকে।
সূচি জানাচ্ছে আসছে বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। একটি টেস্ট ও ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ তাদের সঙ্গে। মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় সিরিজে টাইগাররা মিস করবেন সাকিবকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (আইপিএল) মিস করছেন সাকিব। কে জানে হয়তো ক্যারিয়ারে আর কখনো ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নাও দেখা যেতে পারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। ২০২০ সালের মে-জুনে আয়ারল্যান্ড সফরের কথা বাংলাদেশ দলের। সফরে থাকছে একটি টেস্ট,৩টি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তারপরই জুনের শেষে ঢাকা আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। সফরে দুটি টেস্ট খেলবে অজিরা। এখানেও সাকিব থাকবেন মাঠের বাইরে।
জুলাইয়ে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর। যেখানে দল খেলবে ৩ ম্যাচের টেস্টের সিরিজ। আগস্টে নিউজিল্যান্ডের সফর। যেখানে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দল। অক্টোবরে বাংলাদেশ দল যাবে নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সাকিবকে পাবে না দল। একইভাবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর চার ম্যাচে দেখা মিলবে না সাকিবের। তারপরই ফেরার পথ তৈরি হবে এই মহাতারকার।
মঙ্গলবার আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেয়েই সাকিব ছুটে আসেন বিসিবি কার্যালয়ে। মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেন আর শক্তি সঞ্চয় করেই ফিরবেন তিনি। বলছিলেন, ‘একটা জিনিস আমি বলতে চাই, যেভাবে আপনারা আমাকে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছেন, বাংলাদেশের সব ক্রিকেট ভক্ত, সব মানুষ, বিসিবি, সরকার থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের সবাই আপনারা যেভাবে সমর্থন করে এসেছেন আমার ভালো এবং খারাপ সময়ে, আশা করি আপনাদের সেই সমর্থনটা থাকবে। এই সমর্থন যদি থাকে, তবে ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারব আমি। আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।