জন্মের ছয় বছর আগেই বিশ্বকাপ দেখেছেন রশিদ খান!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ৩রা মে ২০১৯ ০৭:৩১ অপরাহ্ন
জন্মের ছয় বছর আগেই বিশ্বকাপ দেখেছেন রশিদ খান!

জন্মসনদ থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বয়স লুকানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। ক্রীড়াঙ্গনেও এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বয়স লুকোনোটা যেন ক্রীড়াবিদদের জন্য নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়ে গেছে। এই তালিকায় রশিদ খানের নামটাও বেশ পুরনো।  রশিদ খানের বোলিং নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়, তার চেয়ে বেশি আলোচনা হয় আফগান স্পিনারের বয়স নিয়ে। তারকা এই স্পিনারের বিরুদ্ধে বয়স লুকানোর অভিযোগটাও বেশ পুরনো। ক্রিকেটপ্রেমীদের দাবি, খেলোয়াড়ি জীবনে ‘আসল বয়স’ লুকিয়ে খেলছেন রশিদ খান। যে বয়সটা দেখানো হয়েছে, আফগান স্পিনারের বয়স তার চেয়ে অনেক বেশি।

এসব ব্যাপারে অবশ্য কখনো মুখ খোলেননি আফগানিস্তানের এই তারকা স্পিনার। তবে আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রশিদ খানের বয়স। বলা বাহুল্য, নিজের বয়সটা আলোচনায় নিয়ে এসেছেন তিনি নিজেই। আর মাত্র ২৭ দিনের অপেক্ষা। এরপর মাঠে গড়াবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। চলতি বছরের ৩০ মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাঠে পর্দা উঠছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসরের। বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্যাম্প করছে আফগানিস্তান। কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন রশিদ খান।

আইপিএলের ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে রশিদ খান বলেন, ‘১৯৯২ সালে পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খানের হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি দেখে বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছা জাগে আমার। সেখান থেকেই আমি অনুপ্রাণিত হই।’ রশিদ খানের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণটাও বেশ পরিষ্কার। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো থেকে শুরু করে সর্বত্রই রশিদ খানের জন্ম তারিখ দেওয়া আছে ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮। এমনকি পাসপোর্টেও এটাই তার জন্ম তারিখ। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্ন, রশিদ খানের জন্ম ১৯৯৮ সালে হলে তিনি কীভাবে ১৯৯২ বিশ্বকাপ দেখেন এবং সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হন?

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব