এ যেনো এক অন্যরকম শুভাগত! ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময়ই সেরা পারফর্মারদের একজন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোম। কিন্তু তিনিও যে খেলতে পারেন টর্নেডো ইনিংস তার নতুন সব দৃষ্টান্তই যেনো সৃষ্টি করে চলেছেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। সবশেষ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শুভাগত হোম। যে ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি উদ্বোধনি ম্যাচেও। মাত্র ১০ বলে খেলেছিলেন ৩২ রানের তাণ্ডবে ইনিংস। যে ইনিংসে ম্লান হয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের ঝড়। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই। শুধু নিজেকে বললে ভুল হবে, ছাড়িয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশের সবাইকেই। গড়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি করার বাংলাদেশি রেকর্ড। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছেন ১৮ বলে ৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ১৬তম ইনিংসে যখন নামেন শুভাগত, তখন দলের রান ৪ উইকেটে ১০৯, বল বাকি মাত্র ২৮টি। এই ২৮ বল থেকে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৩ রান যোগ করেন শুভাগত হোম এবং তৌহিদ হৃদয়। যেখানে মাত্র ১৮ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৮ রানই আসে শুভাগতর ব্যাট থেকে। অপরাজিত এ ইনিংস খেলার পথে মাত্র ১৬ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন তিনি। যা কি-না যেকোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা ছিল মুমিনুল হকের দখলে। ২০১৩ সালে মিরপুরের শেরে বাংলায় বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে ১৯ বলে পঞ্চাশ করেছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই বল থেকে কেবল ১ রান নিতে সক্ষম হন শুভাগত। চার মারেন নিজের মুখোমুখি তৃতীয় বলে। ১৬ ওভার শেষে শাইনুপুকুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১৫, শুভাগতর রান তখন ৩ বলে ৫।
এরপরই মূলত শুরু হয় আসল তাণ্ডব। আলাউদ্দিন বাবুর করা ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা-চার মেরে সে ওভার থেকে ১৫ রান নেন শুভাগত। পরের ওভারে কাজী অনিককে ৩ ছক্কা মেরে নেন ২১ রান, নিজে পৌঁছে যান ১১ বলে ৩৭ রানে। ১৯তম ওভারে ফের বল হাতে আসেন আলাউদ্দিন বাবু। এবার ২টি ছক্কা ও ১টি চারে মোট ২০ রান তোলেন অপর প্রান্তে থাকা তৌহিদ হৃদয়। তখনো বাকি ছিলো শেষ ওভারের তান্ডব। কাজী অনিকের করা শেষ ওভারটি পুরোটা খেলে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন শুভাগত। পূরণ করেন নিজের ফিফটি। দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ৪ উইকেটে ১৯২ রানে। শুভাগত ১৮ বলে ৫৮ এবং তৌহিদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৪টি করে চার-ছক্কার মারে ৪১ বলে ৬৬ রান করে। কাজী অনিক ৪ ওভারে খরচ করেন ৬২ রান, আলাউদ্দিন বাবুর ৪ ওভারে আসে ৪৫ রান। দুজনই নেন ১টি করে উইকেট।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।